বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড: শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ এর সভাপতিত্বে সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের দাবীতে মানববন্ধন ও নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির আলোচনায় ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, ক্ষমতায় থাকা দুটো রাজনৈতিক দলই ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার-আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যায়বিচার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই দলের নেতাকর্মীর বাইরে একটি বৃহৎ মধ্যবিত্ত, কৃষক-শ্রমিক ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠি রয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা যায়নি। তারা নতুন করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গণমুক্তি জোট সাইলেন্ট মেজরিটিকে ঐক্যবদ্ধ করে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে দেওয়া ৭ দফা দাবী আদায় করতে বদ্ধ পরিকর। ড. শাহরিয়ার দাবীসমূহ সভায় পাঠ করে শোনান।
৭ দফা দাবীসমূহ হল:
১/ তফসীল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে ২/মন্ত্রীসভা ছোট করতে হবে এবং মন্ত্রীসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে ৩/ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে ৪/ নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে ৫/ সকল নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট প্রথা বাতিল করতে হবে ৬/ প্রবাসীদের অনলাইনে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে ৭/ সকল নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিতে হবে।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্না অনুষ্ঠানের মুল বক্তার আলোচনায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকা মারফত জানতে পারছি নির্বাচন কমিশন ডিসিদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে এবং তা দেওয়ার জন্যও ডিসিরা কথা দিচ্ছেন। আমরা এরকম সহায়তার কথা বলছি না/আমরা বলছি- নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রশ্নে নির্বাচনকালীন সময়ে “স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন” মন্ত্রণালয় কমিশনের অধীনে দেয়ার সুনির্দিষ্ট আইন পাশ করতে হবে।
প্রধান অতিথির আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য আজকে ঘোষিত দাবীগুলো অবশ্যই আইন হিসেবে পাশ করতে হবে। সেই সাথে ক্ষমতা, টাকা ও গোষ্ঠিগত দাদাগীরি থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন জোটের কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ মোঃ আকতার হোসেন, ডঃ মোমেনা খাতুন ও মোঃ মমতাজ উদ্দিন মজুমদারসহ জোটের সমন্বকবৃন্দ। সভায় জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ ও শরিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
পথ সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম এর হাতে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, গণমুক্তি জোটের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, সনাতন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এড. সুমন কুমার রায়, গণমুক্তি জোটের সমন্বয়ক রশিদ মিয়া প্রমুখ।